
শিরোনাম:
চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দোকানদারের দাড়ি ধরে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল
রিপোর্টার:
জেলা প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে চাঁদাবাজির অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাড়ি ধরে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভুক্তভোগী আলী আজম মানিক ঘিওর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়—
অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়া প্রায়ই মানিকের দোকান থেকে নানা কাজ করিয়ে থাকতেন, কিন্তু সঠিক পারিশ্রমিক দিতেন না।
ঘটনার দিন, নাসিম দোকানে এসে জরুরি ভিত্তিতে একটি কাজ করতে বলেন।
তবে তখন মানিক অন্য এক গ্রাহকের কাজ করছিলেন, তাই একটু অপেক্ষা করতে বললে—
নাসিম ক্ষিপ্ত হয়ে তার দাড়ি ধরে টানাটানি করেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
ভুক্তভোগী আলী আজম মানিক বলেন—
“আমি ডাক-চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করেন।
পরে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিই।
বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তিনি আমাকে দোকান না করতে হুমকি দিয়েছেন।
এই দোকানই আমার জীবিকা। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন—
“নাসিম আগে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব খাটাতেন।
সরকার বদলের পর তিনি বিএনপির নামেও ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করেন।
এর আগেও এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।”
অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়া বলেন—
“আমি একটি জমির নামজারির কাজ নিয়ে দোকানে যাই।
সে আমাকে পরে আসতে বলে, এরপর নানা অজুহাতে কাজ না করার কথা জানায়।
আমি চলে আসছিলাম, তখন সে আমাকে গালি দেয়।
তখন আমি তাকে কিল-ঘুষি মারি।
তবে দাড়ি ধরে টানার অভিযোগ মিথ্যা।”
রাজনৈতিক পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি জানান—
“আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তবে কোনো পদে নেই।
রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই আসে না।”
ঘিওর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী মিষ্টার জানান—
“নাসিম বিএনপির সক্রিয় সদস্য নন।
তবে তার ভাই একসময় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল থেকে ঘিওর সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন।”
ঘিওর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন—
“আলী আজম মানিক থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আগের পাওনা টাকা না দিলে কাজ না করার কথা বললে
নাসিম ভূঁইয়া ক্ষিপ্ত হয়ে মানিককে মারধর করেন।
বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভিডিওর ফুটেজে দেখা গেছে, নাসিম একজন ধর্মপ্রাণ দোকানদারকে প্রকাশ্যে মারধর ও লাঞ্ছিত করছেন।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শেষ কথা:
মানবিক বিবেচনায় ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি।
মানিকগঞ্জ থেকে, আমি [আপনার নাম], রিপোর্ট করছেন।